ঐতিহাসিক লালকুঠি তথা নর্থব্রুক হলের সামনে দীর্ঘদিন ধরে দখলকৃত অবস্থায় থাকা নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ-কে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) লালকুঠিতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ- এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নির্দেশনা দেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার এ সময় গণমাধ্যমেকে বলেন, এখানে বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান সাহেব আছেন। আমি ওনাকে লালকুঠির সামনের অববাহিকা থেকে এসব স্থাপনা সরাতে বলেছি। এ বিষয়ে আমি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছি। ওনাদের কিছু খরচ আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, ওনাদের খরচটা আমরা বহন করব। আসলে উদ্যোগের বিষয়ে ওনারা যদি উদ্যমী হন, তাহলে আমরা কাল থেকেই কাজ শুরু করতে পারব।
লালকুঠির সামনের রাস্তায় পার্কিং দিয়েও দখল করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন, নদীর অববাহিকা দখল অবস্থায় আছে। আমরা আগে থেকেই বলেছি, তাদের এখানে যে সকল অবকাঠামো, পন্টুন ও লঞ্চঘাট আছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য। আপনাদের মাধ্যমে আমি আবারও বলব, অবিলম্বে এই জায়গাটা খালি করে দিতে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পুরোনো আদলেই এটি সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, লালকুঠি আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। যেটা লর্ড ব্রুকের সময় ১৮৭৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি মূলত টাউন হল ছিল। এটি অত্যন্ত দুরুহ। আমরা এই স্থাপনার পুরনো ছবি দেখে সেই নকশা অনুযায়ী এটাকে সংস্কার করছি।
এ সময় উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান গণমাধ্যমেকে বলেন, এখানে যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনার সংস্কার কাজ করা হচ্ছে, সেহেতু সিটি কর্পোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ এবং আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মিলে সামনের স্থাপনা সরাতে যৌথভাবে কাজ করব। আশা করি, পরিকল্পনা করেই আমরা এর একটি সুন্দর সমাধান করতে পারব।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও উপাদান ব্যবহার করে সরকারি স্থাপনা নির্মিত হবে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও কৃষিজমির মূল্যবান মাটির অপচয় বন্ধ করতে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা-সহ সরকারের নির্মাণ ও পূর্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তরসমূহের নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অনুসরণ করে কাজ করবে।
এইচআর