কুষ্টিয়ার শহরতলি হাটশ হরিপুর পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন আলী (২৪) নামের এক যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি ৯ টুকরো করে পৃথক ছয় জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছিল।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর বোয়ালদহ সংলগ্ন পদ্মার চর থেকে লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদার দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি এসকে সজিবের নেতৃত্ব এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সজিবসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।
নিহত মিলন হোসেন (২৪) দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহিরমাদি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই ব্লকের ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ জানান, গত বুধবার সকালে মিলন বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওইদিন সন্ধ্যায় তার স্ত্রী মুমো খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। জিডির প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মুঠোফোনের একটি কললিস্টের সূত্রধরে প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজিবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে সজীবসহ আরও চারজনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে নদীর চরে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে টাকার দাবিতে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতরা সবাই একে অপরের পরিচিত। মিলন বাড়ি থেকে অনলাইনে কাজ করত। নিখোঁজের দিন তাকে মুঠোফোনে ডেকে হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ওইদিন রাতেই তাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার সুবিধার্থে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে নদীর চরে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আর এই পুরো হত্যাকাণ্ডটির নেতৃত্ব দিয়েছে তারই বন্ধু সজীব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাউজিং এলাকার বাসিন্দারা জানান, সজিবের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালিত হয়।
ইএইচ