`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা` শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসআরএফ-এর উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সার্বিক সহযোগিতা করে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মশালা শেষ হয় বিকেলে। এতে বিএসআরএফ-এর শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সুতরাং গণমাধ্যমের ভূমিকা ছাড়া দেশের উন্নয়ন হতে পারে না। উন্নয়নের প্রতিটি স্তরে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা যেন আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, সেজন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় গণমাধ্যমকে সবসময় দেশের বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার আহবান জানান ফরহাদ হোসেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ তার বক্তব্যে প্রকৃত সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নয়, তার ডাটাবেজ তৈরি করছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। দেশের সকল সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং এর অপব্যবহার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের উপাত্ত সুরক্ষার জন্যই এ আইন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়নি।
স্বাগত ও উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
কর্মশালায় `রুলস অব বিজনেস/কার্য বিধিমালা কর্ম বণ্টন` শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনা করেন সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
`তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯` শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনা করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এইচআর