সাবের হোসেন চৌধুরী

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ, এবং সংরক্ষণবাদী সহ সকলকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। 

বুধবার, বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন" শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ;  অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী, ওয়াইল্ডটিম এবং মুকিত মজুমদার বাবু চেয়ারম্যান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিং এর মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স, রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সাবের চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিত করণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।

বাংলাদেশে ১ম বারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিং এর মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তর সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহার এর জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সারা দেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের এর চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

বিআরইউ