সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি

গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে ঈদযাত্রায় ‘বাড়তি ভাড়ার’ নজরদারির পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে ঈদযাত্রায় ‘বাড়তি ভাড়ার’ নজরদারির পরামর্শ

ঈদ আসতে না আসতে সব ধরনের গণ পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। এমন ভোগান্তির অবসানে এবারের ঈদে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কোনো ঈদেই মালিকপক্ষ যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করে না। একটি চক্র প্রতি ঈদে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কাজটি করে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা’য় তিনি এ কথা বলেন।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ঈদে মালিকদের থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তারপরও প্রতিবার অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ আসে। আমাদের আসলে এতো পরিমাণ গাড়ি... যার কারণে সবগুলোকে একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয় না। প্রতিবার কিছু অসাধু মানুষ আগেই বেশি করে টিকিট কেটে রেখে দেয়, এরপর ঈদের আগে বেশি দামে বিক্রি করে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগালে প্রতিকার পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এবার অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেক ভালো হয়েছে। দুই লেনের রাস্তাগুলো এখন চার লেন হচ্ছে। এগুলোতে ব্যবস্থা নিলে আসা করি এই ঈদে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে না। গতবার ট্রাফিক পুলিশ ড্রোন দিয়ে রাস্তার সার্বিক অবস্থা দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, যে কারণে ক্যামেরায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। এবারও যদি এ রকমটা হয়, তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখি প্রতিবারই রাস্তার পাশে হাটবাজার থাকার কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়। এগুলো বন্ধ করার অনুরোধ। অন্যথায় অন্তত মূল সড়ক থেকে হাটবাজার যেন অন্তত দূরে হয়। তাহলে এবার ঈদে অন্যান্য বারের মতো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রতি ঈদেই রাজধানীতে বাড়তি গাড়ি চলে আসে, যেগুলোর কোনো ফিটনেস থাকে না। এগুলোর কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। এবার ঈদে যেন এগুলো যেন চলতে না পারে। দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হলো মহাসড়কগুলোতে মানুষ অনেক স্পিডে গাড়ি চালায়, সেই সড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা দেখা যায়। আগামীতে সমস্যা থাকবে না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানসহ আরও অনেকে। সভা সঞ্চালনা করেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুর।

বিআরইউ