ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হতো। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ক্ষতটা তৈরি হয়েছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এ ক্ষতিটা করা হয়েছে। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকেও টপকে যেতে পারতাম।
বুধবার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আর এসব অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক হলো স্বাধীনতা।
মন্ত্রী ফরিদুল হক খান বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোর প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে, মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এছাড়া পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ফজলুর রহমান, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এএসএম শফিউল আলম তালুকদার, ৫৬০ মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান সরকার ও মো. হাবজ আহমদ প্রমুখ।
আলোচনাসভা শেষে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত এবং দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিআরইউ