জাকির হোসেন একজন ভ্যান চালক। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির এ সময়ে যেখানে চলাটাই কঠিন, সেখানে ভালো মানের ইফতার করাটাই যেনো বিলাসীতা। তবে অর্থনৈতিক সংকটকে কাটিয়ে প্রতিদিনই বিরিয়ানি দিয়ে ইফতার করছেন তিনি।
জাকিরের মত প্রতিদিন প্রায় দু’শো থেকে আড়াইশো নিম্নবিত্ত ও দুঃস্থ রোজাদারদের একমাত্র ভরসা ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম সম্পাদক আমির হামজা। প্রথম রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুঃস্থদের পাশে ছিলেন আমির হামজা।
আমির হামজা জনান, ইফতার পার্টি না করে মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করুন প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা অনুযায়ী আমি এই আয়োজন করেছি। প্রতিদিন পলাশীর মোড়ে ২০০-২৫০ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি৷ এই আয়োজন আমরা পুরো রোমজান জুড়ে করবো।
আমির হামজা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগ ঢাকা সহ সারাদেশে দুঃস্থ দের মাঝে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম করছে। তারই অংশ হিসেবে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
এমন আয়োজন আগামীতেও করতে চেয়ে তিনি বলেন, এত মানুষের খাবার যোগান দেওয়াটা অনেক কষ্টের ছিলো। টিউশনির টাকা সহ সিনিয়র জুনিয়র ভাইদের পরিশ্রমে এই আয়োজনটা করতে পেরেছি। ভার্সিটির সকল শিক্ষার্থী যখন ছুটিতে পরিবারের সাথে সময় দিচ্ছে। ঈদের আনন্দ করছে। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতেছে। তখন আমরা দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর এ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েও মানুষিক তৃপ্তিটাও পাওয়া যায়।
এই আয়োজনের সমর্থক আরাফাত আব্দুল্লাহ জানান, আমির হামজা ভাই যখন প্রথম আমাদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানান তখনই আমরা তার পাশে দাঁড়াই। সার্বিক সহযোগীতা করি৷ রমজানের দিন সারাদিনের ক্লান্ত শেষ ইফতারের সময়ে যখন দুঃস্থ দের মাঝে ইফতার বিলি করতাম তখন নিজের কাছে ক্লান্তটা ক্লান্ত মনে হতো না।
বিআরইউ