ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে না চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন ডিএসসিসি`র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন। এক্ষেত্রে একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান হানিফ পুত্র খোকন।
শনিবার (১৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে মেয়র মো. হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। সংবাদ সম্মেলনে মো. সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু, আমাদেরকে সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে। আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা না করে একসাথে কাজ করা উচিত। সামনে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতা আসতেছে সেটিকে আমরা সবাই মিলে একসাথে মোকাবেলা করতে চাই। আমরা একে অপরকে দোষারোপ না করি। আমরা দোষারোপের রাজনীতি না করে সবাই মিলে একসাথে কাজ করা উচিত। আমরা একটি সুন্দর, নিরাপদ ঢাকা চাই। আমাকে কর্তৃপক্ষ যখনই ঢাকবে তখনই আমি হাজির হয়ে যাবো।
বর্তমান ডিএসসিসি মেয়রকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুই তিনদিন পূর্বে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমরা গতবছর দেখেছি, ২২ বছরের রেকর্ড ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের অধিক ছিল। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭০৫ জন। পত্র পত্রিকায়ও বলা হয়েছে ২০১৯ এর চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। বর্তমান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে সেটির সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কোনো মিল ছিল না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে ছিলাম। ২০০০ সালে থেকে ডেঙ্গু বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু, আমি চেষ্টা না করে বিদেশে চলে যায়নি। আমি জনগণের সাথে ছিলাম।
বিআরইউ