দুবাইয়ের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পাচার করত একটি চক্র। সেখানে পাচার করা নারীদের অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সেই চক্রের হোতা ইতি বেগমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার রাতে র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন জানিয়েছেন, সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতি বেগম ও তার প্রধান সহযোগী ওমর ফারদিন খন্দকার ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের জনশক্তি রপ্তানির বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের কিশোরী-তরুণীদের দুবাইয়ের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও বাসায় উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ নারীরা বিনামূল্যে দুবাই গিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় তাদের ফাঁদে পা দেয়। তারা দুবাইয়ে যেতে রাজি হলে চক্রের হোতা ইতি বেগমের দুবাই প্রবাসী বোন শিউলী বেগমের কাছে তাদের পাঠানো হয়। শিউলী বেগম মূলত দুবাইয়ে পাচার হওয়া নারীদের এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে তার কাছে নিয়ে যায় এবং অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে নারীদের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে অসামাজিক কাজে বাধ্য করে।
চক্রটি ৮ মার্চ বন্দর থানার ঝাউতলা এলাকার দরিদ্র পরিবারের একজন নারীকে রেস্টুরেন্টে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুবাইতে পাচার করে। সেখানে পৌঁছে কথামতো কাজ না পেয়ে এবং অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়ে ওই নারী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
একই কায়দায় দুবাইয়ে পাচার করা একাধিক নারীকে নির্যাতনের মাধ্যমে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও ওই নারী তার পরিবারকে জানায়। এ অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ইতি বেগম ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ইএইচ