প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ড

গ্রামবাসীকে হালাল উপার্জন করতে বলতেন গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ১২:৪১ এএম
গ্রামবাসীকে হালাল উপার্জন করতে বলতেন গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর

প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তার গ্রামের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দিয়া গ্রামে। সেখানে বাবার ভাগের যে সম্পত্তি তিনি পেয়েছিলেন এক বছর আগেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়িতে নিরবতা। তার পৈত্রিক বাড়িটি জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বাবা ছবির উদ্দিন মন্ডল বেসরকারি চাকরি করতেন খুলনায়। সেখানে থেকেই তিনি অবসরে যান। কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা-মা মারা যান। জাহাঙ্গীর আলমরা চার ভাই ও দুই বোন। বাড়িতে এখন তেমন কেউ থাকেন না।

গ্রামবাসী জানান, জাহাঙ্গীর আলমের ডাক নাম ফুয়াদ। স্থনীয়রা তাকে ফুয়াদ নামেই বেশি চেনেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জাহাঙ্গীর। বড় ভাই ফারুক মন্ডল সরকারি চাকরি করতেন। তিনি মারা গেছেন।  

অপর ভাই সাইফুল ইসলাম শিবলি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করতেন। অবসরের পর তিনি এখন গাইবান্ধা শহরে জায়গা কিনে সেখানেই বাড়ি করে থাকছেন। অপর ভাই মোহাম্মদ পটু মন্ডল মারা গেছেন। জীবিতকালে তিনি গ্রামে থাকতেন। জাহাঙ্গীর আলমের দুই বোন মালা এবং মুক্তা স্বামীর বাড়িতে থাকেন।

ছোট বেলা থেকে মেধাবী ছাত্র ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। কঞ্চিপাড়া এম এ ইউ একাডেমি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ভালো রেজাল্ট করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ভর্তি হন তিনি। 

সেখানে থেকে এইচএসসি, অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। এরপর ঢাকায় চলে যান। গ্রামে এলেই তিনি সবাইকে ডাকতেন। হালাল উপার্জনের পাশাপাশি নামাজ পড়তে বলতেন। সেই মানুষটাই যে এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।

কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খুবই ভদ্র প্রকৃতির ছিলেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে কিছুই করেননি। তিনি গ্রামে নিজের ভাগের সবকিছু বিক্রি করেছেন।  উত্তরাঞ্চলের মানুষ হলেও গ্রামের মানুষের জন্য কিছুই করেননি। একটা চাকরির সুপারিশ পর্যন্ত করেননি।

ইএইচ