দেশজুড়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এরইমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকালে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তা প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
এ অবস্থায় নতুন করে স্পষ্ট কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না হলেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়ে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর দায় সরকারেরই। সরকার আলোচনার কোনো পরিস্থিতি রাখেনি।
যদি এখনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজপথ থেকে সরানো না হয়; যদি হল, ক্যাম্পাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হয়, যদি এখনো গুলি অব্যাহত থাকে তাহলে সরকারকেই সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।’
কেবল কোটা সংস্কার করলেই ফয়সালা হবে না উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘প্রথমে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার আমাদের দাবি কর্ণপাত করেনি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। এখন সংলাপের নামে, দাবি আদায়ের নামে নতুন প্রহসন করছে।’
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির নামেও কোনো প্রসহন মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের এই শীর্ষ সমন্বয়ক বলেন, ‘সব ছাত্র হত্যার বিচার করতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করে রাজপথ থেকে অপসারণ করতে হবে। শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না। সরকারকেই সমাধানের পথ বের করতে হবে৷’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকুন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান থাকবে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে।’
বিবৃতিতে নিজের ও অন্যান্য সমন্বয়কদের গ্রেপ্তারের শঙ্কা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে আজকে রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার অথবা গুম করে ফেলতে পারে। আপনারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।’
ইএইচ