সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে গত ১২ দিনে প্রায় ৯ হাজার ৬৫৩ জনকে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা বিভাগে। বিভাগটিতে গ্রেপ্তার সাড়ে ৪ হাজার জন।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করা পাঁচ শতাধিক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, চিহ্নিত অপরাধীদের ফুটেজ দেখে দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না
এর আগে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিবৃতি নেওয়ার বিষয়টি গুজব বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গতকাল বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধে জোরপূর্বক ছয় সমন্বয়কের কাছ থেকে বিবৃতি নেওয়ার অভিযোগটি গুজব। যারা এ গুজব ছড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি অনুরোধ—গুজব ছড়াবেন না।
হারুন বলেন, এখানে (ডিবি) কাউকে আটকে রাখা হয় না।
জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয় না। তাঁরা অনুভব করেছেন, সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে। তাঁরা আমাদের কাছে লিখিতভাবে বলেছেন। তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
হারুন বলেন, ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়কের পরিবার বলেছে, সমন্বয়করা ভালো আছেন। তাঁদের পরিবার কাল রাতেও এসেছিল। আজও (গতকাল) ডিবিতে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা নিজেরাও দেখেছেন, তাঁরা কেমন আছেন। তাঁদের পরিবারের লোকজন গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন।
হারুন বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমরা মনে করি, যদি কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমাদের কাছে আসেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব তাঁদের দেখভাল করা। সেটিই আমরা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে তাঁরা (ছয় সমন্বয়ক) একটি বিবৃতি দিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে তাঁরা আর নেই। রবিবার রাত থেকে আমরা গুজব ছড়াতে দেখছি, তাঁরা স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেননি। আমরা মনে করি, ডিবি কার্যালয় হলো মানুষের আস্থার জায়গা। মানুষকে হেনস্তা করা বা কারো প্রতি অন্যায় আচরণ করা, তা কখনোই ডিবি করে না, ভবিষ্যতেও করবে না।’
বিআরইউ