নয়াটোলা কামিল মাদরাসায় ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১১

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
নয়াটোলা কামিল মাদরাসায় ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১১

রাজধানীর হাতিরঝিলের নয়াটোলা এইউএন কামিল মাদরাসার ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এ সময় ১১ ছাত্র আহত হয়।

মাদরাসার শিক্ষক মুহাদ্দিস মুনির আহমেদ খানের পুনঃনিয়োগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

মাদরাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মুহাদ্দিস মুনির আহমেদ নয়াটোলা কামিল মাদরাসায় ১৯৯৭ সালে মুহাদ্দিস পদে যোগ দেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২০১১ সালে তাকে প্রথমে বরখাস্ত করা হয়। চাকরি ফিরে পেতে বিভিন্ন দপ্তর ও আদালতে গিয়ে আইনি লড়াই করেন। তার পক্ষে রায় পান।

পরে তিনি ২০১৮ সালে মাদরাসায় পুনরায় যোগ দেন। এরপর তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৭ সেপ্টেম্বর মুনির আহমেদ মাদরাসার অধ্যক্ষ বরাবর যোগদানের আবেদন করেন। অধ্যক্ষ যোগদানের অনুমতি দেননি। পরে মুনির আহমেদ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবর চাকরিতে যোগদানের আবেদন করেন।

মাদরাসা অধিদপ্তর থেকে তার আগের অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মুনির আহমেদকে মাদরাসার অধ্যক্ষ বরাবর একটি আবেদন দিতে বলেন। আজ সেই আবেদন জমা দিতে আসেন।

জানা যায়, নয়াটোলা এইউএন কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুনির আহমেদ খানের পুনঃনিয়োগ উপলক্ষ্যে মাদরাসায় এলে ছাত্ররা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করতে একত্রিত হন। এ সময় ছাত্ররা মাদরাসার মাঠে একত্রিত হলে মাদরাসার এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, আসাদুল্লাহ খান, বাপ্পি খানসহ কয়েকজনের মদদে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী মাদরাসার ভিতরে ঢুকে রড ও স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় ১১ জন ছাত্র আহত হয়। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক ছাত্র বলেন, সকল ছাত্ররা মুহাদ্দিস মনির খানকে শিক্ষক হিসেবে চাচ্ছে। কিন্তু কমিটির লোকেরা তাদের স্বার্থ হাসিল ব্যর্থ হতে পারে এই ভয়ে মুহাদ্দিস সাহেবকে যোগদান করতে দিতে চান না। মুহাদ্দিস সাহেব মাদরাসায় আসলে আমরা তাকে বরণ করতে গেলে ফারুক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বহিরাগতরা আমাদের উপর হামলা চালায়।

এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া হামলা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি তখন আমার রুমে অবস্থান করছিলাম। চূড়ান্ত বহিষ্কৃত একজন মুহাদ্দিস যোগাযোগ করতে আসেন। আসার সময় বহিরাগত কিছু লোক নিয়ে আসেন। ছাত্ররা তাকে অভ্যর্থনা, ফুল দেওয়ার জন্য দাঁড়ায়। তখন শিক্ষকরা তাকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেন এবং আসতে নিষেধ করেন। তখন ছাত্ররা বিশৃঙ্খলা করে।

ইএইচ