ঢাকা হরযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরব আমিরাতে শারজা হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে ভ্রমণে যাওয়া এক যাত্রী ফ্লাইট উড্ডয়নের ১০ মিনিট পূর্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব ড.সাইফুর রহমানের হস্তক্ষেপে এয়ার আরাবিয়া বোডিং পাস পেয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ঐ যাত্রী মো. বাবুল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৪:৪০ মিনিটে এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইট জি-৯ ৫১৫ দিয়ে ঢাকা থেকে আরব আমিরাত হয়ে পাকিস্তানের করাচি ভ্রমণে যেতে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বাংলাদেশের হরযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এসময় সে বিমানবন্দরের "র" সি তে এয়ার আরাবিয়ার কাউন্টারে বোডিং পাস নিতে গেলে তার পাকিস্তানের ভিসা ও এয়ার আরাবিয়ার যাওয়ার টিকেট থাকা সত্ত্বেও ফেরত আসার টিকেট অন্য এয়ারলাইনস অর্থ্যাৎ ভিসতারা এয়ারলাইনসের হওয়ায় তাকে বোডিং পাস দিতে অস্বীকৃতি জানান এয়ার আরাবিয়া কাউন্টারে থাকা কর্তব্যরত একাধিক কর্মকর্তা। এহেন পরিস্থিতিতে তার কি করনীয় ঐসকল কর্মকর্তাদের কাছে সে জানতে চাইলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় তাদের এয়ারলাইনসেরই ফেরত টিকেট নিতে হবে নতুবা বোডিং পাস দেয়া যাবেনা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে নিরুপাই হয়ে ঐ যাত্রী বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব ড. সাইফুর রহমান কে ফোন করে বিষয়টি অবগত করে, সাথে সাথে ঐ সচিব হরযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ঐ যাত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা করতে বলে। এতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মাসুদুর রহমান আসাদুজ্জামান নামক একজন অফিসার পাঠিয়ে এয়ার আরাবিয়া বিমান কতৃপক্ষকে ডেকে এনে বোডিং পাস করিয়ে যাত্রীর ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশি শেষ করিয়ে ঐ বিমানে দিয়ে আসে।
এবিষয়ে যাত্রী মো. বাবুল জানান, এয়ার আরাবিয়ার টিকেট যাওয়ার সময় কমদামে পাওয়ায় তা নিয়েছি আর আসার টিকেট অন্য একটি এয়ারলাইনসে আমার সুবিধা মত নিয়েছি, এতে এয়ার আরাবিয়া আমাকে লম্বা সময় বসিয়ে রেখেছে, এমনকি আমার টিকেটের টাকা পুরোটা পাবোনা জেনেও তারা কোন সহযোগিতা করেনি। পরে আমি নিরুপায় হয়ে সচিব সাহেবকে বিষয়টি ফোন করে অবগত করার পর উনি একটা দাওয়াতে থাকা সত্ত্বেও আমাকে এয়ারপোর্টের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরের নাম্বার দিয়েছে এমনকি নিজেও ফোন করে আমাকে সহযোগিতা করতে ঐ কর্মকর্তাকে বলেছে। আমি সচিব মহোদয় এবং এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতায় অনেক টাকা ক্ষতি থেকে বেঁচে গেলাম এবং আমার ফ্লাইটে উঠতে পেয়েছি। ধন্যবাদ অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং জনতার সচিব মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এমন ভাবে সবাই এগিয়ে এলে আর প্রবাসে যাওয়া যাত্রীরা হয়রানি হবে না। আমরা স্বাধীন হয়েছি তাই এক এয়ারলাইনসের নিকট জিম্মি কেন থাকব। আমরা আমাদের মত করে সুবিধা মত টিকেট নিব।
আরএস