তরুণ প্রজন্মের অগ্রগতির অন্তরায় মাদক। মাদকের ছোবলে তরুণ যুবসমাজ যেভাবে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মাদকাসক্তের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম।
শিশু-কিশোর-যুব-বৃদ্ধা-নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে মাদকের ভয়াল থাবার শিকারে পরিণত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাদকের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা বাস্তবায়নে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ্ থানা পুলিশকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন।
সাধারণ মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্যে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা, অলিগলি ও মসজিদে মতবিনিময় করে ধীরে ধীরে পুলিশের উপরে মানুষের যে আস্থা হীনতা ছিল তা পাল্টে যাওয়া শুরু করছে। জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
কমেছে সন্ত্রাস, অস্ত্রের ঝনঝনানি, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, কিশোর অপরাধ। বেড়েছে সেবার মান। সেইসঙ্গে পুলিশের প্রতিও সাধারণ মানুষের আস্থাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের প্রতি কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার। এর অবস্থান বাস্তবায়নে ওসি মহিববুল্লাহ্ অভিযান পরিচালনা করে আসছে প্রতিদিন। ফলে বেড়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আসামি গ্রেপ্তার।
অভিযানের কারণে গা ঢাকা দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা। অনেকেই এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। কারবারিরা নতুন কৌশলে মাদকদ্রব্যের কারবার শুরু করলেও কঠোর নজরদারিতে ধরা পড়ছে।
জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত উত্তরা পূর্ব থানা।
এ থানায় মূল সমস্যা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের ছিনতাই। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাধারণ বাসিন্দাসহ সবাই অতিষ্ঠ ছিল এসব অপরাধীদের জন্য। সবাই একবাক্যে বলতেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে আরও জানা গেছে, বর্তমান ওসি মহিববুল্লাহ’র দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যামামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মেট্রোপলিটনের উত্তরা পূর্ব থানার বিভিন্ন পয়েন্টের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে রাজলক্ষী, আব্দুল্লাহপুর, আজমপুর, জসিমউদদীন, হাউজবিল্ডিং, রেললাইন, এলাকায় ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাসী, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হতো এ জনপথে।
উত্তরা পূর্ব থানার বর্তমান ওসি এখানকার কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে থানায় আগত সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীদের কোন নেতা বা দালালের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি ওসির সাথে দেখা করতে পারেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এছাড়া ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা ও প্রযুক্তি অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পূর্ব থানা পুলিশের কার্যক্রমে নতুনত্ব এনে সরাসরি পুলিশের সেবা দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এ থানায়।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিববুল্লাহ্ আমার সংবাদকে বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার স্যার আমাকে এখানে জনগণের সেবা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
ইএইচ