বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের শীর্ষ নগরী ঢাকা

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ১১:০৪ এএম
বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের শীর্ষ নগরী ঢাকা

রাজধানী ঢাকা আজ সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে শীর্ষে। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২৪১। অপরদিকে ২১৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর। বায়ুর এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

ঢাকার বাতাসের আজকের যে মান, তা যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। আজ ঢাকা ও আশপাশের যে তিন স্থানে দূষণ বেশি, এর মধ্যে আছে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (৩৪৮), পশ্চিম নাখালপাড়া (২৭৯) ও ইস্টার্ন হাউজিং–২ (২৬৫)।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি। তাই বায়ুদূষণের এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ হলো, ঘরের বাইরে মাস্ক পরে যাওয়া। খোলা স্থানে ব্যায়াম না করা এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখা।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বিআরইউ