‘গ্রন্থাগার সামাজিক শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ১২:০৯ এএম
‘গ্রন্থাগার সামাজিক শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গ্রন্থাগার সামাজিক শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরকে সংস্কার করতে গণগ্রন্থাগারের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলে তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের গণগ্রন্থাগারগুলোর পাঠকদের একটা বড় অংশ তরুণ। গ্রন্থাগার সমাজ তথা দেশকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতি চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে আলোকিত করে।

বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণগ্রন্থাগার এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।’

সরকার প্রধান বলেন, দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রন্থাগারসমূহ তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থাগারসমূহের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে।

ড. ইউনূস বলেন, ‘জুলাই ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর সঠিক ইতিহাস জানাতে গণগ্রন্থাগারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আর এটি নিশ্চিত করার জন্য মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে চাই পর্যাপ্ত পাঠোপকরণ। পাঠোপকরণের মধ্যে অন্যতম হলো বই। একটি মানসম্পন্ন বই পারে মানুষের মনোজগৎ জাগ্রত করতে, বেশি বেশি পড়ার আগ্রহ জাগাতে, পারে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে। আর এই কাজটি সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য চাই সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।’

তিনি বলেন, ‘নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ এর উদ্যাপন পাঠক সমাজসহ গ্রন্থাগারের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আরো বেশি উজ্জীবিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

ইএইচ