আলী রীয়াজ

জাতীয় সনদ তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
জাতীয় সনদ তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদ তৈরি করতে চর্চা, ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হলো এমন একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা, যার মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ তার সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারবে।

সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেছে, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ উন্মুক্ত করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই আলোচনাও সেই প্রচেষ্টারই অংশ।

তিনি আরও বলেন, কেবল সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের সম্মিলিত চর্চা, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের নেতৃত্বে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের পথে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সেই ঐক্যের তাগিদ আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে কমিশন স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল বলে জানান আলী রীয়াজ। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে এবং ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন এক পর্যায় সূচিত হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে একটি অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।

ইএইচ