নোয়াখালী সদর উপজেলার সালেহপুর এলাকার খালের ভেতরে স্থাপন করা নোয়াখালী পৌরসভার পানি সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে যাওয়ায় সেটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
খালের ভেতরে স্থাপন করা পানির ওই লাইনটি সড়কের পাশে স্থাপন করায় সড়কের ক্ষতি সাধন হওয়ায় বাধা দেয় স্থানীয়রা। আর এই জন্য স্থানীয়রা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন।
গেলো শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহববুর রহমান, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী পৌরসভার পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে সালেহপুর এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই পানির লাইন স্থাপন করা হয়। সড়কের পাশে মাটি না থাকায় সালেহপুর এলাকায় ২০০ মিটার পাইপ খালের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, খালের ভেতর স্থাপন করা ওই পানির লাইন একাধিকবার দুবৃর্ত্তরা ফুটো করে দেয়। এতে পানির পাইপের ভেতর ময়লা পানি প্রবেশ করায় সেটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু পাইপ লাইনটি সড়কের পাশে স্থানান্তর করতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক বাধা দেয়। এতে পাইপ লাইন উন্নয়ন কাজ ব্যহত হয়।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ নোয়াখালী কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা শহর মাইজদী ইসলামিয়া ও ওদারহাট ১৫ কিলোমিটার সড়ক ২০১৮ সালের চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ মানসম্মতভাবে শেষ হয়েছে। তবে এখনো চুড়ান্ত চুক্তি মূল্য পরিশোধ না হওয়ায় সড়কের কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপনকৃত পানি সরবরাহের পাইপ লাইনটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপন করায় নতুন করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়া টেকসই সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কের ক্ষতি হওয়ায় আমরা কাজে বাধা দিয়েছি। আশা করছি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এর একটি সমাধান হবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ নোয়াখালীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.নিজাম উদ্দিন জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাইপ লাইনটি ফুটো হয়ে যাওয়ায় তারা ওই পাইপ লাইনটি সড়কের পাশে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এতে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন পাইপ লাইন সড়কের পাশে স্থাপন কাজে বাধা দেয়।
আজ জেলা প্রশাসক মহোদয় সরেজমিনে গিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে সড়কের যে অংশে ক্ষতি সাধন হচ্ছে, তা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংস্কার করে দিবেন মর্মে সমাধান করে দেন। তবে এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের সাথে লিখিত কোন চুক্তি হয়নি।
আমারসংবাদ/এআই