ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে অষ্টগ্রাম উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।
সোমবার (১৩ জুন) বিকাল ৩ টার দিকে অষ্টগ্রাম সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে কর্মসূচি পালিত হয়।
অষ্টগ্রাম উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সাধারণ সম্পাদক হযরত মাওলানা কাজী জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী আশরাফীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন-অষ্টগ্রাম উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সভাপতি হযরত মাওলানা সৈয়দ জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
সভায় অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফজলুল হক হায়দারী (বাচ্ছু), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট অষ্টগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি হযরত মাওলানা রেদোওয়ানুল হক আশরাফী, হযরত মাওলানা জালাল উদ্দিন আশরাফী, হযরত মাওলানা আব্দুস সামাদ আশরাফী, হযরত মাওলানা বায়েজিদ আশরাফী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট অষ্টগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারন সম্পদক মো. আব্দুল কুদ্দুছ চিশতী প্রমুখ।
পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেওঘর ইউনিয়ন, বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়ন, পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন, কাস্তুল ইউনিয়ন ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে মিছিলের মাধ্যমে উপজেলা সদরে অবস্থিত অষ্টগ্রাম সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রতিবাদ সভায় যোগদান করেন।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন-বিভিন্ন মসজিদের খতীব ও ইমামগন, সামাজিক রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত মতাদর্শী সকল পর্যায়ের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্যে অংশগ্রহণ করেন।
এতে বক্তারা বলেন, রাসুল (দঃ) আমাদের ইমান। দুনিয়া ও আখেরাতের পথপ্রদর্শক। বিক্ষোভে আগত নেতৃবৃন্দ গোটা বিশ্বে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতে মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভারতে অব্যাহত মুসলিমদের নির্যাতন ও মসজিদ সমূহ ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভারতীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে এমর্মে তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আন্তর্জাতিকভাবে হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
সবশেষে মিলাদ ও মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার সমাপ্তি হয়।
আমারসংবাদ/এআই