বরগুনার পাথরঘাটায় একই পরিবারের ৪ জনকে মারধর করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই পরিবারের ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লেমুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার। আহতরা হলেন-ওই এলাকার মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে শাহিন আজাদ (৪২), তার মা শাহেদা বেগম (৬৭), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৩) এবং ছেলে প্রিন্স হোসন (১৬)।
আহত পারভীন আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে তারা সবাই গুমিয়ে পরেন। রাত দেড়টার দিকে ডাকাতদল তাদের ঘরের মধ্যে ডুকে অতর্কিত মারধর শুরু করেন। আমরা ডাকচিৎকার দিলে ৫ থেকে ৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লোহার রড ও সাবল দিয়ে আমার স্বামী শাহিন আজাদ, ছেলে প্রিন্স ও শ্বাশুড়ি শাহেদা বেগমের মাথায় আঘাত করেন এবং বলে ঘরে রাখা ৩০ লাখ টাকা আছে তা দেয়ার জন্য।
এদেরর মধ্যে কয়েকজনে ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে তার মধ্যে থেকে স্বর্ণের রুলি, চুড়ি, কানের দুল চেইন, নুপুর বের করে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ছিল। এসময় ঘর তোলার জন্য রাখা নগদ দেড় লাখ টাকাও ৪টি মুঠো ফোন নিয়ে যায়। এসময় তাদের বাড়ির পাশের তার দেবরকে চিৎকার শুনে বাড়িতে ডুকতে চাইলে তাকে রামদা নিয়ে দৌড়ানি দিলে ডুকতে পারেনি। পরে তিনি তার অন্য ভাইকে ফোন দিয়ে ডাকলে সে লোকজন নিয়ে ছুটে আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ জানান, রাতে আহত অবস্থায় ৪ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের কাছে সুনেছি ডাকাতের হামলায় তারা আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পারভীন ও তার ছেলে প্রিন্স শঙ্কা মুক্ত। তবে শাহিন ও তার মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমারসংবাদ/এআই