পাঁচবিবিতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬৩ হাজার পশু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ০৬:০২ পিএম
পাঁচবিবিতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬৩ হাজার পশু

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৬৩ হাজার ৫৮১ টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুুত করেছে স্থানীয় খামারিরা। উপজেলায় বাণিজ্যিক কোন খামার না থাকলেও  ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১ হাজার ৪৫০টি পারিবারিক খামারে এসব পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুুত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব মতে এবার উপজেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ৩৩ হাজার হলেও চাহিদার চেয়ে প্রস্তুুত আছে ৪০ হাজার বেশি পশু।
 
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড় ৫ হাজার ৮২৪টি, বলদ ৩ হাজার ৪৩৪টি, গাভি  ৪ হাজার ৩৫টি, মহিষ ১০৫টি, ছাগল ৪০ হাজার ২৬৩টি, ভেড়া ৯ হাজার ৯২০টি সহ মোট ৬৩ হাজার ৫৮১ টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলায় পশুর চাহিদা ৩৩ হাজার  হলেও, ৪০হাজার ৫৮১টি পশু বেশি রয়েছে। যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

অপরদিকে এসব পশু বিক্রয়ের জন্য ২৭টি অনলাইন মাধ্যম ও পশুরহাট পাঁচবিবি জয়পুরহাট নামে একটি সরকারী ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে মূল্যসহ প্রতিদিন এসব পশুর ছবিসহ বিবরণ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আপলোড করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট পাঁচবিবি গো-হাটায় কোরবানীর পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। 

এদিকে গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে কেজি প্রতি ২০/৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। বেশি দামে খাদ্য খাওয়ায়ে বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মাহফুজার আলম জানায়, ছোট খাটো মুদি দোকানের পাশাপাশি কোরবানির ঈদে বিক্রয়ের জন্য ৩টি গাভী লালন পালন করেছেন। বাজারের গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হাটে পশুর বাজার ভাল না হলে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের পশু চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এলাকায় পশু চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি কোরবানীর বাজারকে টার্গেট করে প্রতি বছর বিদেশী জাতের গরু লালন-পালন করি। এবার গো-খাদ্যের দাম লাগামহীন বেড়েই চলছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে কারণে এবার মাত্র দুটি শাইওয়ান জাতের গরু লালন পালন করি। খরচ বৃদ্ধি পাওয়াই গবাদিপশু নিয়ে খুব শঙ্কায় আছি।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণি সম্পদ নিয়ায কাযমির রহমান বলেন, উপজেলায় চাহিদার তুলনায় ৪০ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুুত আছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে পশু গুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারীদের পশু বিক্রয়ের সুবিধার্থে অনলাইনে প্রচার চালানো হচ্ছে। 

আমারসংবাদ/এআই