রাজারহাটে অবৈধ স্থাপনা অপসরণের চূড়ান্ত নোটিশ  

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম
রাজারহাটে অবৈধ স্থাপনা অপসরণের চূড়ান্ত নোটিশ  

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি হতে অবৈধভাবে নির্মিত ১৭টি ঘর/স্থাপনা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আগামি সাত দিনের মধ্যে অপসরণের জন্য চুড়ান্ত নোটিশ অবৈধবদখলদার এর নামে জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। 

কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার স্বাক্ষরিত চুড়ান্ত নোটিশ ভূমি সহকারী কমিশনার আকলিমা বেগমের নির্দেশে গতকাল সোমবার সকাল ১১ঘটিকায় উপজেলার সিংগারডাবড়ীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে থাকা ১৭জন ব্যাক্তির হাতে পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা ভূমি প্রসেস সার্ভেয়ার মোঃ সাহেব আলী। 

চিঠিতে উল্লেখ আছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার  নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও আপনি তা করেননি।কাজেই এ নোটিশ প্রাপ্তির সাথে সাত (৭) দিনের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সম্পুর্ন নিজ ব্যয়ে অপসারণপূর্বক উক্ত সম্পত্তির দখল সরকারের অনুকুল (সহকারী ভূমি কমিশনার,রাজারহাট,কুড়িগ্রাম) বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হল।চিঠিতে আরো উল্লেখ আছে, অন্যথায় উক্ত আইনের বিধান মতে অবৈধ ঘর/স্থাপনা সরকারের অনুকুলে বাজেয়াপ্তপূর্বক দখল আনয়ন করা হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৭জন অবৈধ দখলদার বিদ্যালয়ের জমিতে বিদ্যালয় ভবন ঘেঁষে দোকান ঘর/স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘ তিন যুগ ধরে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ জন্য টেন্ডার হলেও অবৈধ স্থাপনা অপসরণ না হওয়া নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে আছে দুইবছর ধরে।

রাজারহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, দখল উচ্ছেদ করে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার স্বার্থে  উপজেলায় যে সকল বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি অবৈধ দখল/ঘর/স্থাপনা রয়েছে সেগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উচ্ছেদ করার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। যাতে করে বিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং শিশু শিক্ষার্থীরা শারিরীক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে।  

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনীম বলেন, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কেএস