সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজামউদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ষাটোর্ধ নিজামউদ্দীন কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত ফকির আহম্মদের ছেলে। তিনি কলারোয়ার কাজীরহাট বাজারে একজন প্রতিষ্ঠিত মুদি ব্যবসায়ী ও বিকাশ এজেন্ট ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বিকাশে টাকা লেনদেনের সূত্রধরে বিকাশ এজেন্ট নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার (৪০) মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গভীর রাতে নিজাম উদ্দীন তহমিনার বাড়িতে দেখা করতে গেলে চোর ভেবে তাকে মারপিট ও ধাওয়া করা হলে তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন এবং রাস্তায় পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি হৃদরোগী ছিলেন।
নিহতের ছেলে গোলাম রসুল দাবি করেন, পরকীয়া নয় দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে তার বাবার কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেওয়ার উদ্দ্যেশে তাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী কথিত পরকীয়া প্রেমিকা তহমিনা বেগম (৪০), তার ছেলে সুমন (২১), তাদের প্রতিবেশী প্রবাসীর চাচাতো ভাই আব্দুল মাজেদ (৫০) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
এদিকে আটক মাজেদের মেয়ে সাবিনা খাতুন জানান, রাতে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। বাবা-ভাইয়েরা তাকে (নিজাম উদ্দীন) পানি থেকে তুলে দেখেন তিনি মৃত।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ী হৃদরোগী ছিলেন এবং শ্বাসকষ্টের জন্য ইনহেলার ব্যবহার করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কেএস