সাফল্যের ১০ বছরে রাষ্ট্রপতি পুত্র এমপি তৌফিক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ১২:৪৪ পিএম
সাফল্যের ১০ বছরে রাষ্ট্রপতি পুত্র এমপি তৌফিক

২০১৩ সালের ৩ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই।কিশোরগঞ্জ-৪ ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম আসনের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ৯ বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পদার্পন হলো। 

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ দেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আসনটি শূণ্য হলে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই তারই জেষ্ঠ্য পুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এই দিনে উপ- নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন। 

প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। হাওরের মানুষের কল্যাণে এক নিবেদিত প্রাণ নেতা। দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন হাওর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে। সেই লক্ষ্যে সারাবছর বঙ্গভবনের প্রাচুর্য ছেড়ে পড়ে থাকেন হাওরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ঘুরে বেড়ান এই গ্রাম থেকে ওই গ্রামে। নিত্যনতুন হাওরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করছেন। আবার এসব উন্নয়নমূলক কাজ নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি করেন। গত অর্থ বছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ৩ উপজেলা ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রামকে সংযুক্ত করতে নির্মাণ করেছেন  ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের ‘অল ওয়েদার সড়ক’। যা হাওরে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

অলওয়েদার এই সড়কটি গত বছরের ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘হাওরের বিস্ময়’ হিসেবে পরিচিত এই সড়কটি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপির তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, এক সময়ের দুর্গম হাওরে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ভবিষ্যতে এ সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। হাওরকে দেশ ও বিশ্বের আরো কাছে আনতে উড়াল সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি।

করোনাকালিন দুর্যোগময় মুহুর্তে যখন কৃষকরা গোলায় ধান তুলা নিয়ে দিশেহারা। তখন নিজের জীবন বাজি রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কাস্তে হাতে নিজে কৃষকদের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দিয়েছেন। যা দেশেব্যাপী নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সবার মাঝে।

করোনায় কর্মহীন কেউ যেন না খেয়ে না থাকে সেজন্য ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ৩ টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নিজে উপস্থিত থেকে চাল, ডাল, তেল পাঠিয়েছেন ও বিতরণ করেছেন অসহায় মানুষদের মাঝে। ঈদে শাড়ি লুঙ্গি, দুধ, চিনি, সেমাই পাঠিয়েছেন ৩ টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অসহায় মানুষদের জন্য।

প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন ধান সহ বিভিন্ন ফসলের বীজ। মুজিববর্ষে ৩ টি উপজেলাতেই করেছেন বৃক্ষরোপণ। অনিরাময়যোগ্য রোগীদের মাঝে দিচ্ছেন আর্থিক অনুদান।

এ বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম উপজেলার বানভাসি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। এমপি তৌফিক নিজে নৌকায় করে ত্রাণ নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে সহায়তা করেছেন। খাদ্য সংকটে যেন কেউ না পড়ে সেজন্য তিনি নিজে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছেন। বন্যার পানির কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ যেন মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে সেকারণে তিনি প্রতিটি উপজেলায় পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন ও ঔষধ বিতরণ করেছেন।

প্রতিনিয়তই হাওরকে নিয়ে হাওরের মানুষকে নিয়ে ভাবছেন কিভাবে হাওরের আরো উন্নয়ন করা যায়, কিভাবে হাওরের মানুষের ভাগ্যের আরো উন্নয়ন করা যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬ টি সংসদীয় আসনের এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য, মেধাবী, জনদরদী সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে তার নিবীড় যোগাযোগ। জেলা আ.লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের কান্ডারি হিসেবে পরিণত হয়েছেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি।

কেএস