চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুরে রনি (২২) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নিজবাড়ি থেকে ডেকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায় প্রতিপক্ষ। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের পাশ থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহত রনি মাদক ব্যবসায়ীসহ পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে জানিয়েছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর।
আহত রনি দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে। চিকিৎসক বলছেন, আহত রনি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। যে কোন সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে রেফার্ড করা হতে পারে।
পুলিশ বলছে, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নিকট তথ্য আদান-প্রদানের জের ধরে পার্শ্ববর্তী মদনা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শামীমের সঙ্গে রনির বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শামীমসহ কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের অদূরে রাস্তার ওপর রনিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত শামীমসহ জড়িতদের আটকে ইতিমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
সদর হাসপাতালে থাকা আহত রনির বড় ভাই আল আমিন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাশ্ববর্তী মদনা গ্রামের শামীমসহ কয়েকজন আমার ভাই রনিকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ভাইকে কুপিয়েছে।
পরে পুলিশের সহযোগিতায় ভাই রনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। তবে কি কারণে আমার ভাইকে কুপিয়েছে তা আমি জানি না।
পুলিশ জানিয়েছে রনি মাদক ব্যবসায় জড়িত ও পাশাপাশি বিজিবি-র্যাবের সোর্সের বিষয়ে জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক জানান, রনি শঙ্কামুক্ত নয়। যে কোন সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হতে পারে। তার মাথায় কয়েকটি, হাতের কনুই ও বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে ২০ থেকে ২৫টি সেলাই প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, প্রাথমিকভাবে জেনেছি রনি বিজিবি ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি খবর পাওয়া যাচ্ছে সে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত।
মাদক ব্যবসায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট তথ্য আদান-প্রদানের সূত্রের জের ধরে মদনা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শামীমসহ কয়েকজন রনিকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত শামীমসহ জড়িতদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আমারসংবাদ/টিএইচ