কুড়িগ্রাম রাজারহাটে পবিত্র ঈদ উল আজহার কোরবানির পশু জবাই ও চামড়া ছারা মাংস প্রস্তুত করার কাজে ব্যবহৃত হাতিয়ার তৈরি ও মেরামত করতে ব্যস্ত সময় কাঠছে কর্মকার (কামার) পেশাজীবী মানুষজন।
বছরজুড়ে চাহিদা কম থাকলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে অতিরিক্ত অর্ডার পাওয়া চাপাতি, ছুরি, বটি, কাটার ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কর্মকার পরিবারগুলো। লোহা পুরিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করছে ডিজাইনকৃত অর্ডার নেয়া ছুরি চাকু ইত্যাদি।
বাজারে আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাব ও প্রয়োজনীয় উপকরন কয়লা ও লোহার মূল্য বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকট সহ নানা কারনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। কোরবানির ঈদের সাধারনত চাপাতি, ছোরা, বটি, চাকু ইত্যাদী তৈরি করছেন।
চাহিদা বিবেচনা করে কেউ পুরাতন অস্ত্র নতুন করে ধার দেন আবার কেউ নতুন করে তৈরি করে নিচ্ছেন। রাজারহাটে প্রায় শতাধিক কামার বিচ্ছিন্নভাবে গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে তাদের বংশিয় পেশা রক্ষায় দোকান খুলে বসে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
রাজারহাট উপজেলায় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ গ্রামে গড়ে উঠেছে কামার পল্লী। এ পল্লী কামারের টুংটাং শব্দে মুখরিত আশপাশ। এ পাড়ায় ২৫/৩০টি পরিবার এ পেশা জড়িত। তৈরি করে থাকে নিত্তি, চাপাতি, ছোরা, বটি, চাকু, দা, কুঠার।
কামার পাড়া বাজারের মহাজন রাম প্রসাদ কর্মকার বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের ব্যবসা জমজমাট ছিলো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা হারিয়ে গিয়েছি। এই কারখানা গুলোতে প্রায় ৩শ থেকে ৪শ শ্রমকি প্রতিদিন কাজ করত,এখন সবাই বেকার।
সরকার এই শিল্পের প্রতি একটু নজর দিয়ে সহায়তা করলে আমরা আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতাম। কথা হয় রাজারহাট বাজারের কামার সুটকু, উজ্জলসহ কয়েকজনের তারা বলেন, এই বাজারে প্রায় ৮/১০ জন ব্যবসা করি।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে আমাদের পরিকল্পনা থাকে। কয়েক দিনে মোটা অংকের আয় করা যায়। ঈদের কাজ শুরু হয়েছে পুরানা অস্ত্র ধার দেওয়া ৮০ থেকে ১২০ টাকা। নতুন অস্ত্র তৈরি প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়।
কয়েকজন গ্রহকের সাথে কথা হলে তারা জানান মজুরী বেশি মনে হচ্ছে। অস্ত্র তৈরি করে নিতে আসা সহকারী শিক্ষক জাহেরুল হক, আবু সাঈদ মিয়া, বলেন, পশু কোরবানির জন্য নতুন ছোরা নিতে এসেছি।
আমারসংবাদ/টিএইচ