নেতা সবাই হতে পারেন। তবে নেতৃত্বের গুণাবলী সবার মাঝে থাকে না। একজন প্রকৃত নেতা তিনিই, যিনি কর্মীর মনের ভাষা বোঝেন। অনুধাবন করতে পারেন। চোখের দিকে তাকালেই সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কর্মীর নামও যিনি স্মরণ রাখতে পারেন। তেমনই একজন কর্মীবান্ধব নেতা অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথার গণমানুষের নেতা। তিনি মানবিক সেবা নিয়ে প্রতিনিয়তই জনগনের কাছে যাচ্ছেন। যেকোন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহযোগীতার হাত। করোনায় কর্মহীন হাজার হাজার অসহায় মানুষকে ত্রান সহায়তা দিয়ে একাধিকবার খবরের শিরোনামও হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রবীন ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অসুস্থতার কারনে দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। দলীয় নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের সকল বৈঠকেও অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। এমনকি জাতীয় সংসদেও উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ফরিদপুর-২ আসনে একপ্রকার রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিকল্প খুঁজছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু। তবে এ আসনে দলীয় কর্মকান্ড ও মানবিক কাজে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে এলাকায় জোর গুঞ্জন চলছে।
জামাল হোসেন মিয়া ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্যও।
বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বরাবরই সক্রিয় অবস্থান ছিলো জামালের। দলীয় সকল কর্মসূচীতে রয়েছে সরব উপস্থিতিও। স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে নির্ঘুম কাজ করছেন জামাল।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ছুটছেন উপজেলার শহর থেকে গ্রামে। শুধু রাজনীতিতেই নয় সামাজিক কাজেও উপজেলাব্যাপী প্রসংশা কুড়িয়েছেন তিনি। দেশের নানা ক্রান্তিকালে মানবিক সেবা দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে নগরকান্দা-সালথার গণমানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রতিনিয়তই।
জানা গেছে, করোনার প্রকোপে যখন জনজীবন স্থবির হয়ে গিয়েছিল তখন প্রায় ১১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন জামাল। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং জনবহুল স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রতি বছর রমজানে প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ৫ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়াও এলাকার ৫ম ও ৮ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরন প্রদান করেন। এছাড়াও শীতে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র সহ এলাকার ভাংগা রাস্তা মেরামত ও শাকো পুল এবং মাটির রাস্তা নির্মান করে এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়াও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় সরকারী বরাদ্দ ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ব্রিজ, কালভার্ট, বাঁশের সাঁকো, মাটির কাঁচা রাস্তা, মসজিদ- মাদ্রাসা নির্মাণ, স্কুল নির্মাণ, গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের এককালিন নগদ অর্থ সহায়তা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ ছাড়াও দুই উপজেলাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছেন জামাল হোসেন। সামাজিক নানা উন্নয়নমূল কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত রয়েছেন তিনি। উপজেলার অসহায় গৃহহীনদের কাঁচা-পাকা ঘর নির্মানে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন।
এছাড়াও প্রত্যন্ত ইউনিয়নগুলোর মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে এক কাতারে দাঁড়িয়ে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, করোনাকালে কর্মহীনদের মধ্যে চাউল আলু বিতরণ, আগুণে পোড়া পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কাজ করে এলাকায় আলো ছড়াচ্ছেন। জামাল হোসেন মিয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানি বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমি কাজ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাজীবন আওয়ামীলীগ করে যাব এবং মাননীয় নেত্রী যদি দেশের উন্নয়নে সরকারের অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেন তাহলে নগরকান্দা সালথা ও কৃষ্ণপুরের অবহেলিত জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিজেকে সর্বোচ্চ নিয়োজিত রাখবো। আসলে আমি নগরকান্দা-সালথার জনগনের ইচ্ছায়ই রাজনীতি করি। তাদের ভালবাসা ও সমর্থন আমাকে এই পর্যন্ত এনেছে। আমি বরাবরই জনগনকে নিয়ে রাজনীতি করি এবং করতে চাই। জনগনের অকুণ্ঠ সমর্থনও আমার রাজনীতির একমাত্র শক্তি। তার প্রমাণ হলো আমি যখন গ্রামে যাই তখন হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ভালবাসা না থাকলে এতো মানুষ আমার কাছে আসতো না। আমিও আমার কর্মীদের মূল্যায়ন করি তাদের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করি।
কেএস