বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ও বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে দু’দিনের পৃথক তিন সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও শিশু কণ্যা এবং একই পরিবারের ৩ সদস্য সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় হারুণ অর রশিদ (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উক্ত দুর্ঘটনায় মোট ৬ জন নিহত হয়েছেন।
বৃস্পতিবার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত হারুণ অর রশিদও গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। এরআগে শহীদুল ইসলাম নামে আরও একজন এ হাসপাতালে আসার পর মৃত্যু বরণ করেন। তিনিও গাজীপুরের কোনাবাড়ী জোয়ার টেক এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে।
এছাড়া দুর্ঘটনাস্থলেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চিত্তেশ্বর এলাকার মো. নুরুল আকন (৪৮), গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকার রুহুল আমিন (৪৬), আব্দুর রহমান (৪৫) ও মো. হাসান (৩৬) এর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, বুধ ও বৃহস্পতিবার গত দুই দিনে বরিশাল ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে বাস ও মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ নিহত হয়।
অন্যদিকে বুধবার বরিশাল কুয়াকাটা আন্ত বিভাগীয় সড়কের বরিশালের বাকেগঞ্জের হ্যালিপ্যাড নামকস্থানে বিআরটিসির ইজারা দেওয়া বাসের সাথে ব্যাটারী চালিত অটো রিকসার সংঘর্ষে ঘটনাস্থালে এক মহিলা সহ ৪ জনের মৃত্যু ঘটে।
অপরদিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা ও শিশু কন্যা মেয়ের মৃত্যু ঘটে। এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু ঘটে।
অপরদিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাইফুল বেপারী (২২) নামে মোটরসাইকেলের এক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। সাইফুল উপজেলার বার্থী ইউপির ভুরঘাটা এলাকার দুলাল বেপারীর ছেলে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন জানান, রাতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে গৌরনদীর দিকে আসছিলেন সাইফুল। পথে বার্থী ইউনিয়নের গাইনের পাড় অতিক্রম করার সময় অজ্ঞাত একটি যানবাহন তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সর্বমোট বরিশালে ২ দিনে সড়কে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কেএস