নাটোরে ট্রেন থেকে নামার সময় পা পিচলে পড়ে গিয়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে মোঃ সোহাগ (২২) নামে এক যুবকের শরীর থেকে দু’টি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে নাটোর রেলওয়ে প্লাটফরম এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ওই যুবক নিচে পড়ে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
নাটোর ফায়ার স্টেশন কর্মীরা সোহাগকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মোঃ সোহাগ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের ফরিদের ছেলে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার শিকার ওই যুবক ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রি ছিলেন। ট্রেনটি বিকেল ৫টার দিকে নাটোর স্টেশন প্লাটফরমে ধীরগতিতে ঢোকার মুহুর্তে ওই যুবক প্লাটফরমে নামতে গিয়ে পড়ে যান। এসময় তার দু’পা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত ট্রেনের নিচে থেকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার স্টেশন কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত যুবককে নিয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত রেলওয়ে পুলিশের এসআই আবু তালেব জানান, ট্রেনটি প্লাফরমে প্রবেশ করার পর পরই ট্রেনের সামনের দিকে হই চৈই শুনতে পান। এসময় তিনি ট্রেনের পিছনের বগির দিকে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান স্থানীয়রা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন পা সহ আহত যুবককে ট্রেনের নিচ থেকে উদ্ধার করে প্লাটফরমে তুলে রেখেছেন। পরে ফায়ার স্টেশন কর্মীরা এসে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবক ট্রেন থেকে নামার সময় নিচে পড়ে যান। তিনি খবর পাওয়ার সাথে সাথেই রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী সহ নাটোর ফায়ার স্টেশনকে জানান। রেলওয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় দুর্ঘটনার শিকার ওই যুবককে ট্রেনের নিচে থেকে উদ্ধার করে। পরে ফায়ার স্টেশন কর্মীরা এসে আহত যুবককে নিয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জন্য প্রায় ১০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি নাটোর স্টেশন ছেড়ে যায়।
কেএস