মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়কের পৌর শহরের প্রধান সড়কের পাশে গুরুপ্তপূর্ণ এলাকায় প্রবল জলাবদ্ধতা দুরীকরণের জন্য ড্রেন নির্মাণ না করে গুরুপ্তহীন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করা ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে ড্রেনেজ কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মঠবাড়িয়া পৌর শহরের পাথরঘাটা বাস স্টান্ড থেকে বহেরাতলা হয়ে খান সাহেব বাড়ি পর্যন্ত ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪’শ মিটার ড্রেনেজ কাজ শুরু করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়েষ্টার কনষ্ট্রাকশন লিমিটেড এন্ড হাসান টেকনো জেবি দীর্ঘ আড়াই বছর পূর্বে ওই ড্রেনেজ কাজ শুরু করলেও গত এক বছর আগে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা কালীন ও কাজে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ড্রেনেজ কাজ বন্ধ থাকে। সম্প্রতি ওই অসমাপ্ত কাজ পৌর শহরের সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, উপজেলা পরিষদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবি সমূখ সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ড্রেনেজ কাজ না করে শহরের বাহিরে ফায়ার স্টেশনের সম্মুখে কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রেনেজ কাজ শুরু করেন।
ওই ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে জমাট বাধা সিমেন্ট, নিম্নমানের ইট, পাথর, সিডিউলের বাইরে ৮ ইঞ্চি দূরত্বের পরিবর্তে ১৩ ইঞ্চি দূরত্বে রড বাঁধা স্থানীয়দের এমন অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি আরিফ-উল-হক, মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আজীম উল হক, সাবেক যুবলীগ সভাপতি শাকিল আহমেদ নওরোজ, সাবেক স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মর্তুজা উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়েষ্টার কনষ্ট্রাকশন লিমিটেড এন্ড হাসান টেকনো জেবি প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মাসুম জানান, শহরের প্রধান সড়কের পাশে জায়গা না পাওয়ায় ড্রেনের নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের আশ্বাসে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্রুত কাজ শুরু করবো।
তিনি আরও বলেন, কাজে অনিয়ম এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে শ্রমিকদের অবহেলার কারণে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যা অচিরেই ঠিক করে দেয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ পিরোজপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহমেদ জানান, ড্রেন নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস