নীলফামারীর জলঢাকায় মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের (এমএইচভি) কাছ থেকে অডিটের নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চতুর্থ এইচপিএনএসপি ভুক্ত কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্লানের আওতাধীন ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরপিএ জিওবি খাত হতে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের (এমএইচভি)জুলাই/২১ হতে জুন ২২ইং পর্যন্ত ৩ হাজার ৬শত টাকা মাসিক হারে মোট ১২ মাসের বেতন জনপ্রতি ৪৩ হাজার ২শত টাকা প্রদানের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এমনকি তাদের সম্মানি বিল হতে কোন প্রকার আয়কর কর্তন না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর জলঢাকায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ৪২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে মোট ২৯১ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার(এমএইচভি) কর্মরত রয়েছেন।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ২৯১ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অডিট খরচ বাবদ অর্থ নেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের ২/৩ জনকে ডেকে নিয়ে মিটিং করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু রেজওয়ানুল কবীর। সেই মিটিংয়ে জনপ্রতি ৫শত টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ইউনিয়ন পর্যায়ের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার নেতারা। সে অর্থ কালেকশনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার বিশ্বস্ত ৪ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং তাদের মাধ্যমে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন ডাঃ আবু রেজওয়ানুল কবীর।
এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘অডিট ফি’র জন্য বিশ্বস্ত ওই চার ব্যক্তিকে জনপ্রতি ৫শত টাকা করে দিয়েছি,এবং বেতন উত্তোলনের দিন স্ট্যাম্পের জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মনোনীত চার জন ব্যক্তির মধ্যে একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘স্যারের সাথে কথা বলে অডিট খরচের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫শত টাকা আদায় করা হয়েছে,এবং সে টাকা আমরা টিএইচও স্যারের কাছেই জমা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ‘আল্লাহ্ আমাকে অনেক দিয়েছে, এরকম কোন টাকা আমি গ্রহণ করিনি, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি অপপ্রচার।’
জেলা সিভিল সার্জেন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘সরকারি নিয়মের বাইরে কোন প্রকার টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। অডিটের নামে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কেএস