খুলনায় কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২, ০৪:০৮ পিএম
খুলনায় কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

খুলনার ডুমুরিয়ার বানিয়াখালীর মওলানা ভাসানী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য সেখ আঃ ছালাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়ার বানিয়াখালীর মওলানা ভাসানী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডি বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে রয়েছেন সেখ আঃ ছালাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি-২০১৯ এর ধারা-২৭ অনুযায়ী গভর্নিং বডি গঠনে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্যসহ ৩ জন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠনের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তাকে না জানিয়ে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গত ৩ জুলাই নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

তিনি এতে আরও উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে কমিশনে যুক্ত করে নির্বাচন পরিচালনা করতে চান। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের সুস্পষ্ট লংঘন এবং বিষয়টি তাকে জানানো হলেও তিনি তা সংশোধনের সুযোগ না থাকার কথা বলেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম তোয়াক্কা করছেন না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল অনিয়ম বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য সেখ আঃ ছালাম বলেন, সম্প্রতি টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে রেজুলেশনে সই করা আমি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সবশেষ দেখলাম আমাকে বাদ রেখেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হচ্ছে। অথচ গভর্নিং বডির বিধি মোতাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য, অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষক মোট তিন জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু সেখানে দুই জন এই প্রক্রিয়ার কাজ করছে। এ কারণে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত এএইচএম আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। পরবর্তী কমিটির বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই ও ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অভিযোগকারী সেখ আঃ ছালাম বেশ কিছু মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। আর নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম করা হয়নি।

ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে উভয়ের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, কলেজের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

কেএস