গর্ভবতী মায়ের সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পা ভাঙ্গার অভিযোগ পাওয়া গেছে কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার হ্যাপি ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কৃত্রিম উপায়ে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করতে গতকাল রাতে ডামুড্যা উপজেলা হ্যাপি ক্লিনিকে ভর্তি হন সিড্যা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. রমজান আলী তালুকদারের গর্ভবতী স্ত্রী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মা ও শিশু কেন্দ্রের ডাক্তার ইসরাত জাহান। সিজারে বাচ্চা প্রসব হলে নবজাতকের পা ভাঙ্গার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
নবজাতকের বাবা মো. রমজান আলী তালুকদার জানান, হ্যাপি ক্লিনিকে স্ত্রীকে ভর্তি করেছিলাম সিজারের জন্য। সিজার হওয়ার পর বাচ্চা নিয়ে আসলে তার পা ফুলা ও উল্টো অবস্থায় দেখতে পাই। তখন হাসপাতালের নার্সদের পা এ রকম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন ডাক্তারের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটা ঘটেছে।
নবজাতকের বাবা আরও বলেন, ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে পা কেনো ভেঙ্গেছে সেটা জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী নবজাতকের মা তাসলিমা বেগম বলেন, দায়ছাড়া অপারেশন করতে গিয়ে আমার ছেলের পা ভেঙ্গেছে ডাক্তার ইসরাত জাহান। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সিজারকারী চিকিৎসক ইসরাত জাহান জানান, পা ভাঙ্গা কোন সমস্যাই না। ঠিক হয়ে যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফা খোকন জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। হ্যাপি ক্লিনিকে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্তারিত জানাবো।
শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন,আমি এই ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এখনি আমি এই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।
কেএস