গত ৫০ বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে এখানে আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে আসছি। তার মধ্যে স্থানীয় সরকার উন্নয়ন একটি অন্যতম প্রজেক্ট। আমরা বিশ্বাস করি স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে পারলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে প্রথম বারের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরির্শনের সময় প্রধান অতিথি হিসাবে এ বক্তব্য রাখেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত আরোও বলেন, আমরা বাংলাদেশে ইউনিসেফের একটি বড় অংশিদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সেই অংশিদারিত্বের দায়িত্ববোধ থেকে এখানে আসা। আমরা এই প্রথম একটি ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের সাথে অংশগ্রহন করলাম। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখবো।
এসময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, ইউনিসেফ’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ও সাবেক সচিব শেখ মজিবর রহমান, ইউনিসেফ বরিশাল জোনের সিএফও এ.এইচ তৌফিক আহম্মেদ, ইউনিসেফ’র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুমায়ুন কবির, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম রাকিবুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাপাড়া সার্কেল আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনসেফ বাংলাদেশ বরিশাল নিউট্রিশন আফিসার রমা সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ ড.শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লাসহ ইউপি সদস্য, জন্ম নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারী নারী-পুরুষ, স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারা পৌর শহরের মডেল মঙ্গলসুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরির্শন করেন। বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দ-উল্লাসে অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের সময় তাদের ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানানো হয়। এসময় বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুবাইদা সৌরভ স্নেহা, সাবিয়া মরিয়ম ও সারা মনি তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী কমিউনিটি ক্লিনিক পরির্শন করেন। কলাপাড়া মৎস গবেষনা ইনিস্টিউট, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তপন মিস্ত্রির বাড়ি পরিদর্শন করেন।
কেএস