টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাওড়া ইউনিয়নে সারের বস্তা চুরির বিচারে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া বাজারে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে এক বস্তা সারের চুরির দায়ে দুইজনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় মাতাব্বররা।
জানা গেছে, কামারপাড়া গ্রামের লুৎফর মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (৪২) ও একই গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৪৫) ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া ময়ূরভাঙ্গা ক্ষেতে কৃষি কাজ করতে যায়। একপর্যায়ে ক্ষেত পার্শ্ববর্তী পুকুরের ধারে তিন বস্তা সার দেখতে পেয়ে কোনো মানুষজন দেখতে না পেয়ে ওইখান থেকে সোহেল নামের ব্যক্তি এক বস্তা সার পাট ক্ষেতে সরিয়ে নেয়। ফেলে রাখা তিন বস্তা সারের মালিক কামারপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মজিবর মিয়ার বলে জানা যায়।
পরে এক বস্তা সার না পাওয়ায় মজিবর স্থানীয়দের জানালে গত বুধবার সন্ধ্যার সময় সোহেল নুরু মিয়াকে অটোযোগে ওই সারের বস্তা নিতে গেলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণপিটুণি দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শ্যামল বিষয়টি মিমাংসা করা হবে বলে জনগণের কাছ থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে একটি শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সোহেল ও নুরুকে এক বস্তা সার চুরির দায়ে জুরি ভোটের মাধ্যমে দেড় লাখ করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত দেয় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুদ, মেম্বার শ্যামল, মেম্বার ইউসুফ, সাবেক মেম্বার গিয়াস ও মাতাব্বর সিরাজ। সিদ্ধান্তনুযায়ী নগদ সাত হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের মুচলেকা দিলে বৈঠক শেষ হয়।
কামারপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার শ্যামল বলেন, আমি চেয়ারম্যানের সাথে কথা না বলে বিচারের ব্যাপারে আপনাকে কিছু বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে ভাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুদ’র সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিকেলে মির্জাপুর আসতেছি। বিচারের বিষয়টি সরাসরি আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারবো।
কেএস