সৌদি খেজুর ও চারা বিক্রি করে সফল শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার সোলায়মান খান। তিন বছরের ব্যবধানে এখন তার বাৎসরিক আয় ৪-৫ লাখ টাকা। কঠোর পরিশ্রমে এ সফলতা পেয়েছেন সোলায়মানের পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে শত শত খেজুরের চারা। পাশেই মাটি ভর্তি পলিথিনের ব্যাগ। তৈরি হচ্ছে নতুন চারা। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামের খেজুর বাগানে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন সোলায়মান। তিন বছরের ব্যবধানে কয়েকটি গাছে এসেছে খেজুর। পুরো রঙ না আসলেও আধাপাকা খেজুর খেতেও দারুণ স্বাদ। অনেকেই প্রতিদিন খেজুর বাগান দেখতে আসেন।
সোলাইমান খান জানান, ভাগ্য ফেরাতে ইউটিউবে ভিডিও দেখে ও খেজুর বাগান পরিদর্শন করে ২০১৯ সালের মে মাসে বন্ধুদের মাধ্যমে প্রথমে সৌদি আরব থেকে বীজ আনি। পরে রংপুর, গাজীপুর, নরসিংদী থেকেও সৌদি খেজুরের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে রোপণ করি। দুই বিঘা জমিতে ১০০ খেজুরের চারা লাগাতে খরচ হয় প্রায় চার লাখ টাকা। নিজের মতো করে গাছের পরিচর্যা করতে থাকি। পরে গাছের যত্ন নিয়ে বাগান করতে সক্ষম হই। পাশাপাশি নার্সারিও করি। নার্সারিতে বিভিন্ন দামে খেজুর চারা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইচ্ছা ও পরিশ্রমই মানুষের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। উদ্যম নিয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেলে সফলতা আসে।
সোলায়মানের বাবা দলিল উদ্দিন খান বলেন, ছেলেকে খেজুর বাগান করার জন্য জমি দিয়েছি। এখন সাফল্য এসেছে। খেজুর ও চারা বিক্রি করে ছেলের সংসার ভালোই চলে। কিছুদিন আগেও আটটি বড় খেজুর গাছ বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকায়।
স্থানীয় শাহ আলম মিয়া বলেন, সৌদি থেকে খেজুরের চারা এনে চাষ করে তিন বছরেই সফল হয়েছেন সোলায়মান। তার গাছে খেজুরও ধরেছে। কাঁচা খেজুরগুলো খেতে অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। তার থেকে চারা নিয়ে আমরাও খুরমা খেজুর চাষ করে সফল হতে চাই।
স্থানীয় নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, সৌদির খেজুর চাষ করে লাভবান সোলায়মান। তার গাছে খেজুর ধরেছে। এমন উদ্যোগ নিলে দেশে খেজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করবে।
কেএস