কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (২০)।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার রাজা চাপিতলা গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃষ্টির পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজা চাপিতলা গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবুর (২৫) সঙ্গে দেড় মাস আগে পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে বৃষ্টির বিয়ে হয়। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য বৃষ্টিকে প্রায়ই নির্যাতন করতো।
নিহতের বাবা ফরিদ মিয়ার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরা ও পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাননি। বৃষ্টির শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ছেলের বাবা হুমায়ুন কবীরের দাবি, বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে প্রায় সময়ই ফোনে জানাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমরা হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আমারসংবাদ/এআই