গাইবান্ধার দুই উপজেলা কর্মকর্তাকে দুই`শ টাকা করে জরিমানা করেছে তথ্য কমিশন। বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাসুম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তির কমিশনে অভিযোগের শুনানী শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মর্তুজা আহমেদ তাদেরকে এই জরিমানা করেন। এদিন অভিযোগকারীর ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় শুনানীর দিন ধার্য ছিল।
সূত্র জানায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মল কুমার হাজরা এবং পলাশবাড়ী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সুজন মিয়ার কাছে তথ্য অধিকার আইনে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও অনুদান সম্পর্কিত কিছু তথ্য চেয়ে আবেদন করেন একই জেলার মাসুম বিল্লাহ নামের ওই ব্যক্তি। পরে আবেদনকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আপীলকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আপীল আবেদন করেন। আপীল আবেদন করেও আবেদনকারীকে তথ্য সরবরাহ করা না হলে, পরে সাদুল্লাপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পলাশবাড়ী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন আবেদনকারী ওই ব্যক্তি।
তথ্য কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১৮ জুলাই ভার্চুয়াল শুনানীর জন্য অভিযোগকারীসহ ওই দুই কর্মকর্তার কাছে সমন জারি করেন এবং নির্ধারিত দিনে অভিযোগকারী ও পলাশবাড়ী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে নিয়ে শুনানী গ্রহণ করে কমিশন। পরে ওই দিনের শুনানীতে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় অভিযোগকারী, পলাশবাড়ী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজন মিয়া এবং একই সাথে সাদুল্লাপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নির্মল কুমার হাজরাকে ভার্চুয়াল শুনানীতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে আগামী ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় শুনানীর দিন ধার্য করে কমিশন। গতকাল বুধবার ১০ আগস্ট ওই অভিযোগের শুনানী হয়।
শুনানী শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দপ্তরে আবেদনকারীর চাহিত সমুদয় তথ্য থাকা সত্বেও ইচ্ছাকৃত বিলম্ব ও বিঘ্ন সৃষ্টি করাসহ কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার অভিযোগে ওই দুই কর্মকর্তার প্রত্যেককে দুইশ টাকা করে জরিমানা করেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার মর্তুজা আহমেদ। একই সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (কমিশনের দেওয়া) সরবরাহের নির্দেশও দেওয়া হয়।
কেএস