নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারেই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে যা আরও বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম। নিত্যপণ্য নিয়ে তাই ক্রেতাদের হাতাশা।
সৈয়দপুরের আধুনিক পৌর বাজার, রেলওয়ে গেট বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আলুর দাম বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০, পটল ৩০, করলা ও বরবটি ৬০, আদা ৯০, রসুন মান ভেদে ১২০/১৬০, পেয়াঁজ দেশী ৫০, শসা ৪০, ঢেড়স ও পেঁপেঁ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও কিছুটা কমছে সয়াবিন তেলের দাম। প্রতি লিটার বোতল জাত তেল ১৮০ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রতি কেজি আটা ৫০ টাকা, ময়দা ৫৫ এবং সুজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মসুরের ডাল ১০০/১২০, মুগ ডাল ১৪০, খেসারি, বুট ও ছোলা ডালে কেজি ৮৫, চিনি ৮০ ও লবন প্রতি কেজি ৩০ দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
দেশী মুরগির কেজি ৪৫০ টাকা, কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা। হালিতে ২ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি হালি ফার্মের ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের গোস্ত বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০/৬৬০, খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
এছাড়াও বাজারে ইলিশের সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশের কেজি ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এদিন বাজারে অন্যান্য মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেশির ভাগ মাছের কেজিতে ৪০/৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাঁচ কেজি ওজনের কাতল ও রুই মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ এবং আড়াই থেকে তিন কেজি রুই মাছ ৩৭০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও অন্যান্য ছোট মাছের দামও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে আমদানির প্রভাবে সৈয়দপুরে বেশীরভাগ চালের দাম কেজি প্রতি ১/২ টাকা কমছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে। শহরের চাল বাজারে প্রতি কেজি বি আর-২৮ চাল মান ভেদে ৫৭ টাকা, সম্পা কাটারি ৬৫/৬৮ টাকা, মিনিকেট ৬৭ এবং নাজিরশাইল চাল ৭৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
কেএস