নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ ১১নং ইউনিয়ন নিঝুম দ্বীপ পানির নিচে তলিয়ে আছে। গত ৪-৫ দিন অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে গোটা দ্বীপসহ হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। শুক্রবার ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে নিঝুম দ্বীপ। নেই কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ ।
জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে বসবাস করছে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেদ্র নিঝুম দ্বীপের মানুষ ।এমন অবস্থায় নিঝুম দ্বীপে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন ।
নোয়াখালী জেলার অন্যতম গর্ব হলো হাতিয়া দ্বীপ উপজেলার এই নিঝুম দ্বীপ। ভৌগোলিক অবস্থার দিক দিয়ে এটি হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় একটি অঞ্চল। যা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রতিবছর হাজারো পর্যটকদের ভিড় থাকে সমুদ্র উপকূলীয় নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে।
নানা সৌন্দর্যের হাতছানি আর মায়াবী হরিণের সমাগমে অটল কীর্তি রয়েছে নিঝুম দ্বীপে । নিঝুম দ্বীপে প্রায় ৫ হাজারের বেশি মায়াবী হরিণ রয়েছে।
অথচ ঋতু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালে জনজীবন অসহ্য হয়ে পড়ে সেখানকার মানুষের ।
শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত জোয়ারের পানির কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হরিণসহ সেখানকার অনেক বন্যপ্রাণী। একসময় নিঝুম দ্বীপে সারি সারি হরিণের দেখা মিললেও এখন তেমন বেশী দেখা যাচ্ছে না । নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছে হরিণগুলো। পার্শ্ববর্তী উঁচু চরগুলোতে আশ্রয় নিলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না হরিণগুলোকে।
গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে ফলানো কৃষি ফসল, পানিতে ভেসে গেছে একাধিক খামারের মাছ, বন্ধ হয়ে গেছে চলাচল করার রাস্তাঘাটসহ দোকানপাটগুলোও ।
সেখানকার মানুষের আত্মার গভীরে লুকিয়ে থাকা না বলা কথাগুলো কেবল নিরব অশ্রু হয়ে ঝরে। এমন করুণ অবস্থার মধ্যেও তেমন কোনো সাড়া মিলবে এমন কোন আশা তারা করতে পারছে না ।
এমতাবস্থায় নিঝুম দ্বীপের মানুষের প্রাণের দাবি হলো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। তা না হলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়ে পড়বে বলে জানান সেখানকার মানুষ আর পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে অপার সম্ভাময় এই পর্যটন কেন্দ্র নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন। খুব দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিবে এমন প্রত্যাশা করছে নিঝুম দ্বীপের জনগণ।
আমারসংবাদ/এসএম