সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত কাউনিয়ার পাট চাষিরা

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০২:১৯ পিএম
সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত কাউনিয়ার পাট চাষিরা

উত্তর জনপদের শস্য ভাণ্ডার খ্যাত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় পাট মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এবার সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেওয়া নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা। পানির অভাব হলেও চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এ বছরের শুরুতে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ পাট বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভুতছাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি বলেন গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই চাষিরা পাট চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এতে পাটের আবাদ বেড়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন ভালো ও অন্য বছরের তুলনায়  দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না।

বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আসাদুজ্জামান জানান, পাটের চেয়ে পাট খড়ির দাম বেশি হওয়ায় অনেক মহিলা শ্রমিক পাট খড়ির বিনিময়ে পাট ধুয়ে দিচ্ছে।

চান্দঘাট গ্রামের পাট চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, পাট চাষ লাভজনক ভেবে এবছর ৩বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি, মাঠে শুধু পাট আর পাট চারিদিকে শোভা পাচ্ছে। কিন্তু পাট জাগ দেওয়া নিয়ে অনেক পাট চাষিকেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পানির অভাবে বাধ্য হয়ে নিজ পুকুরেই পাট জাগ দিয়েছি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানান চলতি বছর উপজেলার ৭৫০হেক্টর জমিতে দেশি ও দোষা পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১.৭ বেল।

কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজারে পাটের দাম ভালো যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় পাট উৎপাদন হয়েছে ভালো।

আমারসংবাদ/এসএম