১ ডিম সড়ে ১২ টাকা, ব্রয়লার কেজি ২০০

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম
১ ডিম সড়ে ১২ টাকা, ব্রয়লার কেজি ২০০

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে জামালপুর জেলার প্রতিটি উপজেলার সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে। সকল পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর দাম। দেশে এর আগে কখনো এত দামে মানুষকে ডিম কিনতে হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জামালপুর শহর ও সরিষাবাড়ী এবং আশ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

সরোজমিনে দেখা যায়, বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এক হালি ফার্মের প্রতিটি ডিমের সাড়ে ১২ হওয়ায় ১ হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করছে, যা গত এক সপ্তাহ আগেও ছিলো ৪০ টাকা। কেউ কেউ ৪৮ টাকাতে বিক্রি করলেও তাদের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি তবুও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ফার্মের  ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। এক কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিলো ১৬০-১৬৫ টাকা। এছাড়াও সোনালী মুরগি কিছুদিন আগে ছিলো ২৫০ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, লেয়ার আগে ছিলো ২৬০ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। তবে দেশী মোরগ মুরগীর দামে কেজিতে ৫০ টাকায় কমেছে, দেশী মুরগী আগে ছিলো ৫০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। হাঁস এবং কবুতরের বাচ্চার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগে হাঁস বিক্রি হতো ৩০০ টাকা পিস এখনও তাই বিক্রি হচ্ছে। আগে একটা কবুতরের বাচ্চা ১০০ টাকায় বিক্রি হতো এখনও ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জামালপুর শহরের ছোট বাজারে বাজার করতে এসে কামাল হোসেন নামে এক রিকশাচালক বলেন, বাজার করতেই পারলাম না, সবকিছুর দামই বেশি। এছাড়াও ডিম, মুরগী, কাচা সবজি সবকিছুর দামই আমাদের নাগালের বাইরে।

সদর উপজেলার ছোনটিয়া বাজারের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কালাম মিয়া বলেন, তারা খামারের ডিম বিক্রি করেন। তাদের খরচ বেশি, তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে। পাইকারি রেটে ১০০ ডিমের দাম তারা ১১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একসপ্তাহ আগেও এ ডিম তারা ১০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, তবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন তারা আর কম দামে ডিম বিক্রি করতে পারেন না। পরিবহন খরচ, লেবার খরচ সবকিছুই বাড়তি। এছাড়াও মুরগীর খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, সপ্তাহখানেক আগেও এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিলো ৪০ টাকা, এখন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তাদেরকে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে এক হাজার ডিম তারা এক হাজার টাকায় কিনতেন, এখন তিনদিনের ব্যবধানে সেই একই ডিম তাদের ১১১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তার আর কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

সরিষাবাড়ী উপজেলার আরামনগর বাজারে বাজার করতে এসে রিক্সা চালক উজ্জ্বল বলেন, কাঁচা মরিচ কিনতে চাইছিলাম কিন্তু দাম চাচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। তাই না কিনেই চলে যাচ্ছি। তবে গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৩০ কেজি বিক্রি হতো।

এ বিষয়ে জামালপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে বলেন, কেনো এবং কি কারণে ডিমের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়ে মনিটরিং করতে গত কয়েকদিন ধরেই তিনি মাঠ পর্যায়ে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

কেএস