কক্সবাজারের পেকুয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার তারাউল ইসলাম আইমনের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র মামুনুর রশিদ।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেক পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মামুনুর রশিদ (২২) বারবাকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র ও উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেক পাড়া এলাকার মো. আলীর ছেলে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হামলাকারী কিশোর গ্যাং লিডার তারাউল ইসলাম আইমন (২০) উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেক পাড়ার দিনমজুর রমিজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে এলাকায় বিপদগামী কিছু উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি গ্যাং তৈরী করেছে। তার নেতৃত্বে উপকূলীয় এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা সহ বড় ধরণের অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি গত ১ আগষ্ট উজানটিয়ায় চায়না নাগরিকদের উপর হামলা করে ট্রলার থেকে সরকারের মেগা প্রকল্পের মালামাল লুটের ঘটনায় সে সরাসরি জড়িত বলে জানায় স্থানীয়রা। তার এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তবে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করে না কেউ।
আহতের ভাই শামিমুল ইসলাম বলেন, পাওনা টাকা দাবী করায় কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার তারাউল ইসলাম আইমন কুপিয়ে জখম করে আমার ভাই মামুনুর রশিদকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তারাউল ইসলাম আইমন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা এক আতংকের নাম। তার অত্যাচারে গ্রামের অসহায় মানুষরা অতিষ্ঠ হয়ে ও কিছুই বলার সাহস পাই না। ভয়ে দিনাতিপাত করছে একাধিক পরিবার।
জানা যায়, তারাউল ইসলাম আইমন পেশাদার কিশোর গ্যাং লিডার । তার বড় ভাই মোহাম্মদ আরকান ছাত্র দলের সক্রিয় ক্যাডার। ইতিপুর্বে চট্রগ্রামের সি এম পির হালিশহর থানা হতে বিগত ১৫/৮/২০২১ ইং তারিখে প্রেরিত BCR(Bad character Roll) মূলে পেকুয়া থানা হতে রিপোর্ট তলব করা হয়। যা পেকুয়া থানা বিগত ১৫/৩/২২ ইং তারিখে স্বারক নং-৯৪৪ মূলে তদন্ত পূর্বক তারাউল ইসলাম আইমন একজন খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী জানান, ঘটনা শুনেছি, এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস