কবিরহাটে ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগ চরমে

জহিরুল হক জহির, কবিরহাট প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০২:৫০ পিএম
কবিরহাটে ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রায় ১৫ ঘণ্টা। বিদ্যুৎ এর অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ঘন-ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে প্রতিনিয়ত বাল্ব, ফ্যান, সুইচ, ক্যাপাসিটারসহ বিদ্যুতের বিভিন্ন উপকরণ পুড়ে যাছে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েছে। কথায় আছে ‍‍`বিদ্যুৎ নেই যেখানে উন্নয়ন ও শান্তি নেই সেখানে‍‍`।

নরোত্তম পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ ঠিক মত না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারেনা। এভাবে চলতে থাকলে জাতি মেধাশূণ্য হয়ে যাবে।

ফরাজী বাজারের ওয়েলডিং কারখানার মালিক রনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। অনেক কাজের অর্ডার নেয়া আছে, কিন্তু বিদ্যুতের কারণে কাজ করতে পারছি না।

করম বকস বাজারের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) কম্পিউটার, স্টেশনারী এবং ডিজিটাল স্টুডিও দোকানের মালিক বলেন, বিদ্যুত না থাকার কারণে কম্পিউটার এবং ফটোস্ট্যাট মেশিন চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মচারী চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংসার পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা এবং সংসার ধ্বংশ হয়ে যাবে। এছাড়া বিদ্যুতের ঘন-ঘন যাওয়া আসার কারণে প্রতিনিয়ত পুড়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

গৃহিণী ফাতেমা হক বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে শিশুরা গরমে ঘেমে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে গেছে। গরমে তারা শুধু কান্নাকাটি করে। বিদ্যুৎ আসলে ঘুমায়। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ সচিব আমাদের এলাকার তবু ও আমরা কস্টে আছি।

পল্লী বিদ্যুৎ কবিরহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম নিজাম উদ্দিন সামস জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৬০ হাজার। সে মোতাবেক প্রতিদিনের বিদ্যুৎ চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। সেখানে দিনে ৩ মেগাওয়াট এবং রাতে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। সে কারণে দিন-রাত মিলে কারণে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতিমা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন তো সব জায়গায় সমস্যা। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিজিএম সাহেবের সাথে কথা বলবো।

কেএস