ফরিদপুরে ক্লিনিক বন্ধ, টিকাদান কর্মসূচী চলছে স্কুলের বারান্দায়

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৮:৩১ পিএম
ফরিদপুরে ক্লিনিক বন্ধ, টিকাদান কর্মসূচী চলছে স্কুলের বারান্দায়

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি ক্লিনিক গত ১৪ দিন ধরে তালা ঝুলছে। ক্লিনিকটি বন্ধ থাকার কারণে শিশু বাচ্চাদের ইপিআই টিকা দেওয়া হচ্ছে স্কুলের বারান্দায় বসে। ওই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা মো. নুরুল ইসলাম ১৪ দিন ধরে যাচ্ছেন না ক্লিনিকে। ফলে এলাকার মানুষ সরকারি ক্লিনিকের সেবা থেকে বঞ্চিত।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কাদিরদী বাজার সংলগ্ন একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ক্লিনিকের পাশে রয়েছে কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ক্লিনিকের জমির সাথে স্কুলের জমির সীমানা নিয়ে চলছে বিরোধ। গত ৪ আগস্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক জমিটি মাপজোক করেন। এতে স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে কিছু জায়গা পাওয়া যায়। এই জমি জমা বিরোধের জের ধরে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. নুরুল ইসলাম ক্লিনিকে না গিয়ে তালা বন্ধ করে রেখেছেন। এদিকে ১৭ আগস্ট ক্লিনিকটি বন্ধ থাকার কারণে সাতৈর সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভলেন্টিয়ার মুরাদ মাহমুদ শিশুদের ইপিআই টিকা স্কুলের বারান্দায় বসে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এ ব্যাপার কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমান বলেন, স্কুলের জায়গা এতোদিন ধরে ক্লিনিকের ভেতর দখল করে রেখেছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার জমিতে এসে মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অনেক দিন ধরে কি কারণে ক্লিনিক বন্ধ করে রেখেছেন তা জানা নেই।

এ বিষয়ে ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিক বন্ধ করে রেখেছি ভয়ে। জমি মাপার পর স্কুল ক্লিনিকের জমির ভেতর জমি পেয়েছে। ক্লিনিকে গেলে শিক্ষকরা যদি কিছু বলে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন যখন আমাকে ক্লিনিকে যেতে বলবেন তখন যাব।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারি সার্ভেয়ার উপস্থিত ছিল। সেখানে ওই স্কুলের উল্লেখিত দুই শিক্ষকের সঙ্গে বহিরাগত কিছু স্কুল শিক্ষক আমার সহকর্মীর সাথে খুবই রুঢ় আচরণ করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

আমারসংবাদ/এসএম