মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ: ফার্মেসী সীলগালা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম
মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ: ফার্মেসী সীলগালা

বাগেরহাটের শরণখোলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করায় গুরুতর অসুস্থ্য রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকের ফার্মেসী সীলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী রুমানা বেগমের ভাই আলফু বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, তার বোন রুমানা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ তাওহিদুল ইসলামের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ১৫ আগষ্ট চালিতাবুনিয়া বাজাওে সুন্দরবন ফার্মেসীতে স্কয়ার কোম্পানীর “সেফট্রন ১মিঃগ্রাম” ইনজেকশন কিনতে যায়। ফার্মেসী মালিক চিকিৎসক নিয়াজ মুন্সি সেফট্রনের পরিবর্তে  এসকে-এফ কোম্পানীর তৈরী মেয়াদোত্তীর্ণ  “ট্রাইজেক্ট ১মিঃগ্রাম ইনজেকশন রুমানা খাতুনকে পুশ করে। এতে রুমানা খাতুন গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রোগীর স্বজনরা উক্ত ফার্মেসী থেকে আরো পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাইজেক্ট ইনজেকশন উদ্ধার করে। উক্ত ইনজেকশনের গায়ে উৎপাদনের তারিখ মে ২০১৯ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ জানুয়ারী ২০২২ লেখা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ তাওহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশের ঘটনা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট নুরই আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট চালিতাবুনিয়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সুন্দরবন ফার্মেসীর মালিক নিয়াজ মুন্সি ফার্মেসী বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল কোর্ট ফার্মেসীটি সিলগালা করে দেয় বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন।

কেএস