গত ১৪ আগস্ট আমার সংবাদ অনলাইন সংস্করণ `` নীলফামারীতে প্রতিবন্ধীর জমি দখলের পায়তারা ও ১৭ আগস্ট আমার সংবাদ পত্রিকায় ডিমলায় জমি সংক্রান্ত জেরে ১০ জন্য আহত শিরোনামে সংবাদ দুইটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবন্ধী কাজী রফিকুল ইসলামের সম্পত্তি দখলের বিষয়টি বানোয়াট।
রফিকুল ইসলাম ১৯৯০ সাল থেকে ২০০২ সালে সম্পূর্ণ সম্পত্তি ইনসান কাজী, আতিয়ার কাজী ও সফিয়ার রহমানের নিকোটিন বিক্রি করেন। মুলত দৌলত কাজী ও মহীয়ার কাজী দুই ভাইয়ের মোট জমির পরিমান ৬ একর ৬১ শতাংশ। কিন্তু দৌলত কাজী মোট সম্পত্তি ৩ একর ৩০.৫ শতাংশ মালিক হলেও তিনি বিক্রি করেন ৪একর ৪৭ শতাংশ। তিনি ১ একর ১৬.৫ শতাংশ জমি বেশি বিক্রি করেন। দৌলত কাজীর সর্বশেষ দলিল টি ১একর ৪২ শতাংশ রফিকুল কাজীর নিকট বিক্রি করায় রফিকুল কাজীর দলিলের মাত্র ৭৪ শতাংশ সঠিক। অবশিষ্ট ৬৬ শতাংশ জমি মহীয়ার কাজী দখল নেয়কে কেন্দ্র করে বিষয় টির সুত্রপাত হয়ে। রফিকুলের জমি যারা ক্রয় করেছে তাদের চন্দনে রফিকুল কাজীর পুত্র মানিক কাজী ভিত্তিহীন ভাবে হয়রানির পায়তারা করতেছে।
উক্ত জমির সাথে ও ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা না থাকলেও ভিত্তিহীন ভাবে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রফিকুল ইসলামের পুত্র মানিক কাজী, ইনসান কাজী, সিরাজুল কাজীর মধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের অভিযোগকারি, আইন জীবী, স্থানীয় প্রভাবশালীসহ পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলতেছে। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ করছি। রাসেল সরকার, ডিমলা, নীলফামারী।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
নীলফামারী’র ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের নালিশি বৃত্তে গত ০১/০৭/২০২২ তারিখ আনুমানিক সকাল ৯ টায় রাসেল সরকার পিতা নুরুল হক সরকার তার নেতৃত্বে নালিশি বৃত্তের জবরদখলের পায়তারা করছিল। এ আশঙ্কায় প্রতিবন্ধী কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী মানিক বাদী হয়ে রাসেল কে প্রধান আসামি করে নীলফামারীর ডিমলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পিটিশনে নালিশি তফশিল বর্নিত জমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ-দখল করিয়া আসিতেছে। বিজ্ঞ আদালত পিটিশন মামলা নং- ২০৮/২০২২ তারিখ ০৭/০৭/২০২২মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃংঙ্খলার রক্ষার জন্য নোটিশ জারি করেন।নোটিশ প্রাপ্তির পরেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদীগণ জবরদখল করে একচালা টিনের ঘর তৈরী বিদ্যমান হওয়ায় তারা পেনাল কোর্ডের ১৮৮ ধারায় অপরাধ করেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিটিশন মামলাটি তদন্ত করেন; এএসআই জিয়াউল হাসান। আদালতের আদেশ অমান্য করার ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাসেলের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট মানিককে বেধরক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। আল-আমিন, নীলফামারী।
কেএস