দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের ঘরম মীরাপাড়া গ্রামের পানির ড্রেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের ঘরম মীরাপাড়া গ্রামের তাজুল হোসেনের ছেলে গোলজার হোসেনের সাথে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নিয়ে প্রতিবেশি ফরিদ উদ্দীনের ছেলে হারুন অর রশিদের বিরোধ চলে আসছিলো। স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী ও মেম্বার ইব্রাহিম আলীর মধ্যেস্থতায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসার বৈঠকও হয়। সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হলেও আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছিলো।
এদিকে ঘটনার দিন শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সামান্য কথা-কাটাকাটির জের ধরে হারুন অর রাশিদ ও তার লোকজন হাতে লাঠি, রড হাতে গোলজারের বাড়িসহ তার আত্মীয় স্বজনের বাড়িরতে গিয়ে হামলা করে। এ সময় বাড়ির পুরুষ মানুষগুলো মাঠের জমিতে ধানের চারা রোপন সহ মাঠে অবস্থান করছিলো। হামলাকারীরা প্রথমে বাড়ির মহিলাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
তাদের লাঠি ও কোদালের আঘাতে মৃত বাদেশ এর মেয়ে খাদিজা খাতুন (২৫), শাহজাহান আলীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৫০), আজিজুল হকের মেয়ে খাদিজা (২৪), গোলজার হোসেনের স্ত্রী শাপলা (৩৫), সানোয়ার হোসেনের মেয়ে বৃষ্টি (২২) ও আব্দুল বাছেদের স্ত্রী মোমেনা (৫০) আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে যক্ষম করা হয়।
এছাড়াও বৃষ্টি মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাদের চিৎকারে দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তাজুল ইসলাম (৬৫), আব্দুল লতিফের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) এগিয়ে এলে তাদের উপর হামলা করা হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই দিনই ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
কেএস