বৈরী আবহাওয়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়া বাংলাদেশের ৩২ জেলেদের উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে তাদের মোংলা কোস্ট গার্ডে হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা বলেন, গত ১৫ আগস্ট সমুদ্র মাছ আহরণের উদ্দেশ্য রওনা হন। এরপর ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের মাছ ধরার ট্রলার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পানি ঢুকে পড়ে চারটি ট্রলারই ডুবে যায়। এ অবস্থায় পরে তারা তাদের ড্রাম ধরে সাগরে দুদিন ধরে ভাসতে থাকেন। এই দুদিন তারা অভুক্ত অবস্থায় থেকে জীবনের আশা ছেড়ে দেন। তাদের মত বাকিদেরও একই অবস্থা তৈরি হয়।
জেলেরা জানান, ঝড়ের কবলে পড়া চারটি ট্রলারে ৪৭ জন জেলে ছিল। এরমধ্যে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ৩২ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তারা বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করেছেন এসব জেলেরা।
ঝড়ের কবলে আটকা পড়ে উদ্ধার হওয়া এসব জেলেদের বাড়ি পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। তাদেরকে আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে কোস্টগার্ড জানায়।
মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, গত ১৮ ও ১৯ আগস্ট বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ফিশিং ট্রলার ‘এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস, এফবি আব্দুল্লাহ-১, এফবি ছগির ও এফবি মায়ের দোয়া’ ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় চলে যায়। এ সময় সমুদ্রে টহলরত অবস্থায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ কর্তৃক পরদিন গত ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টায় ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃতদের মাধ্যমে ভারতীয় কোস্টগার্ডের এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে বাকি নিখোঁজ আরও ২২ জন জেলেকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ৩২ জেলেদের গত ২৩ আগস্ট দুই দেশের কোস্ট গার্ডের সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ ‘তাজউদ্দিনের’ নিকট হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘অপরাজেয় বাংলা’য় করে জেলেদের কোস্ট গার্ড মোংলা সদর দপ্তরে নিয়ে আসে।
ইএফ